বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শিকড়ের কবিদের কবিতায়
স্মরণ, শ্রদ্ধাঞ্জলি
শেখ মুজিব
দিলু নাসের
বাংলা ও বাঙালীর কাছে
মুজিব নামের অর্থ আছে
তাহার সাথে অনেক কিছু যুক্ত
মুজিব ছাড়া বাংলানামের
দেশ না হতো মুক্ত।
জন্ম থেকে মৃত্যুবদি
সেই মানুষের চেষ্টায়
স্বাধীনতার ফুল ফুটেছে
বাংলা নামের দেশটায়
বাংলাদেশের পাখপাখালি
নদীর কথকতা
সবাই জানে জাতির জনক
শেখ মুজিবের কথা ...
শেখ মুজিবুর আমার প্রিয়
এবং প্রিয় বাবার
শেখ মুজিবের দেশে মুজিব
আসবে ফিরে আবার
ফেব্রুয়ারির বাঁশি
ফেব্রোয়ারীর আকাশ জুড়ে
বর্ণমালার আলো
ভাষার মাসে এই আলোতে
প্রাণের প্রদীপ জ্বালো।
হৃদয় মাঝে কৃষ্ণচুড়ার
আগুন লাগে যদি
সেই আগুনে লাল যে হবে
পদ্মা মেঘনা নদী।
অন্ধকারের বন্ধ দুয়ার
ভাঙতে যদি চাও
গহীন গাঙে নৌকা আবার
উজান স্রোতে বাও।
বর্ণমালার সুরে বাজাও
প্রাণের ভেতর বাঁশি
আমার সোনার বাংলা আমি -
তোমায় ভালোবাসি…
ফাগুন
আসলে ফাগুন
লাগে যে আগুন
কৃষ্ণচুড়ার ডালে
কাঁপে মা-র বুক
ভিজে দুই চোখ
আঁচলের আড়ালে।
ছেলের শোকে
মায়ের বুকে
বাজলে করুন সুর
বর্ণমালা
ঘুচায় জ্বালা
ঝরায় যে রোদ্দুর।
ফাগুন ঘ্রানে
মায়ের প্রাণে
বাজায় যখন বাশি
মা হেসে কয়
বাংলা আমি
তোমায় ভালোবাসি।
কারন তোমার
জন্য আমার
ছেলের রাঙা খুনে
ঢাকা শহর
ভেসে ছিলো
সেই কবে ফালগুনে ।
মায়ের ছেলের
গায়ের খুনে
কৃষ্ণচুড়ার ডাল
ফাগুন এলে
তাই প্রতিবার
হয় যে ফুলে লাল ।
ফাগুন মানে
আগুন ঝরা
বজ্র কঠিন দিন
যার লাগি আজ
বাংলা ভাষা
বিশ্বে অমলিন।
তোমার জন্য
তোমার জন্য আমার কবিতা তোমার জন্য গান
তোমার হাসিতে হৃদয় জুড়ানো তোমার হাসিতে প্রাণ।
তোমাকে জড়িয়ে প্রথম পেয়েছি জীবনের সন্ধান
ভুলতে পারিনা যেখানেই যাই তোমার এই প্রতিদান।
তুমি তো আমায় দিয়েছো প্রথম সূর্য্যের বৈভব
তোমার দুপুর দিয়েছে নুপুর দুরন্ত শৈশব।
আমার মনের সবটুকু রঙ সবটুকু আরাধনা
তোমার জন্য আমার সুর আর শব্দের ব্যঞ্জনা।
তুমি আমার স্বপ্ন সাহস আমার অহংকার
তুমি আমার কাব্য গানের শ্রেষ্ঠ অলংকার।
তোমার সঙ্গে রয়েছে আমার সু-গভীর বন্ধন
তুমি আমার হৃদয়ে দিয়েছো সুবাসিত চন্দন।
তোমার কাছে আমার রয়েছে লক্ষ হাজার ঋণ
যতো দূরে যাই হৃদয়েতে তাই তুমি থাকো অমলিন।
যতোবার আমি তোমাকে দেখি চোখে অপরূপ লাগে
তোমাকে ভাবলে মনের ভিতরে নতুন স্বপ্ন জাগে।
তোমাকে ঘিরে স্বপ্ন আমার তোমাকে নিয়েই আশা
তুমি যে আমার এক জীবনের শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা।
রক্তের আখরে হৃদয়ে লিখেছি তোমার নামটি আমি
তোমার জন্য আজিবন রবো মিছিলে অগ্রগামী।
তোমার জন্য বাঁচবো এবং তোমার জন্য মরবো
তোমার মুখের হাসির জন্য প্রাণপণে আমি লড়বো।
জীবনের সাথে মিশে আছো তুমি বিপ্লবে সংগ্রামে
এ জীবন বাজী রাখতে যে রাজি হে প্রিয় তোমার নামে।
তোমার বুকে লাগলে আচড় আমি দেই চিৎকার
তোমার শোকে আমার বুকে বয়ে যায় হাহাকার।
তোমার মুখটি মলিন দেখলে পরাণ উথলি উঠে
তোমার সুখে আমার বুকে লক্ষ গোলাপ ফুটে।
পৃথীবির পথে নানান ভুমি দেখি যে নিত্যদিন
আমার চোখে তোমার রূপটি লাগে যে সবচে রঙিন।
আলো ঝলমল আকাশ চুম্বি অট্রালিকার ভীড়ে
আমার এ মন বারবার শুধু তোমাকেই দেখে ফিরে।
তোমার মতন রূপের মাধুরী বিশ্বে কোথাও নাই
তাই পৃথিবীর যেখানেই থাকি তোমাকে দেখতে পাই।
প্রেয়সীর ঠোঁঠে তুমি যে রয়েছো ভালোবাসা চুম্বনে
দিবস রজনী আমিযে কাটাই তোমার স্বপ্ন বুনে।
তোমার হাসিতে আমার মুখেতে ফুটে ওঠে যেন হাসি
"আমার সোনার বাংলা আমি -
তোমায় ভালোবাসি"
ভালোবাসা
এই দেশটাকে আমি খুব ভালোবাসি
যেদিকে তাকাই সবুজের সমারোহ
কোথাও সাগর নীল জল রাশি রাশি
নদী ও পাহাড়ে জড়ানো মায়ার মোহ।
এদেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি
কীযে অপরূপ চেয়ে থাকি অবিরত
কিষাণের সাথে নগ্ন দু'পায়ে হাঁটি
যত দূরে যাই মন যেতে চায় তত।
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের দেশ
এদেশের বুকে বহু বীর শুয়ে আছে
তাদের কাহিনী বলেও হবে না শেষ
আমার অনেক ঋণ এদেশের কাছে।
মাথার উপরে সাদা মেঘমালা ভাসে
নিচে বিলে ঝিলে শাপলা মেয়ের হাসি
তারা ঝিলমিল রাতেরে সাজায় আকাশে
প্রাণ ভরে তাই এদেশের ভালোবাসি।
যত দূরে যাই থাকি তবু কাছাকাছি
এ মাটির বুকে বার বার ফিরে আসি
প্রকৃতির টানে প্রাণে প্রাণে মিশে আছি
তাইতো এদেশ প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।
দুঃসময়
এ কোন দুঃসময়ে দেখা হলো তোমার আমার
আকাশে নীলিমা নেই, ফুল নেই পাখি নেই আর
যেদিকেই চোখ যায় কেবলই ভাঙন আর
কেবলই বিনাশ দেখি, চারদিকে কেবলই আঁধার
এ কোন দুঃসময়ে দেখা হলো তোমার আমার।
শোকের কাফনে মোড়া এ কোন ঘাতক সময়
তোমাকে আমাকে করে প্রতিদিন প্রতিরাত ক্ষয়
তোমার আমার মাঝে কেবলই ভাঙন কেন,
কেন এতো দ্বিধা আর ভয়?
প্রাণ আছে তবু কেন প্রাণহীন বলে মনে হয়।
ভয় দ্বিধা মুছে ফেলে জ্বলে উঠো এখনই সময়।
আঁধারে আলোক জ্বালো, ঘষে এই হৃদয়ে হৃদয়।
আঁধারে আলোক জ্বালো, ঘষে এই হৃদয়ে হৃদয়।